lessons for an entrepreneur

5 Lessons for an Entrepreneur

নিজের কোম্পানি বা বিজনেসকে বৃদ্ধি করার জন্য অনেকগুলো নিয়ম বা ব্যাপার আছে। তবে বিশেষ ৫ টা যদি লিস্ট করতে হয়, সেগুলো হবে,

১. শর্ট ডেডলাইনঃ

আমাদের New Year Resulation এ এই ব্যাপারটা বেশি দেখা যায়। বছরের শুরুতে অনেক কিছু করার লিস্ট করি। জিমে যাব, ২৪ টা বই পড়ব, ভ্লগ বানাব, ইত্যাদি। কিন্তু ছয় মাস পরের দেখা যায় তা শুধু লিস্ট আকারেই রয়ে গেছে।
প্ল্যানগুলো আসলে হওয়া উচিৎ আগামী ২৪ ঘন্টায় আমি জিমের মেম্বারশীপ কিনব বা আগামী ১ দিনে আমি ভ্লগ করা নিয়ে ২ টা আর্টিকেল পড়ব বা আগামী ৩ দিনে আমি পড়ার জন্য বই জোগাড় করব।
ডেডলাইন যত ছোট হবে, কাজের স্পিড ততো বেশি হবে, ঐ টার্গেরট পূরণের সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।
সবচেয়ে বেস্ট হয় নিজের GOAL পূরনের জন্য আগামী ১ দিন কি করতে হবে, আগামী ৭ দিনে কি করতে হবে, আগামী ১ মাসে, ৬ মাসে কি করা লাগবে তার লিস্ট করে, সে অনুযায়ী আগানো।
আপনার টার্গের যদি হয় আগামী ৬ মাসে আমি ইউটিউবার হব, তাহলে দেখা যাবে ৫ মাস পর আপনার নাড়াচাড়া শুরু হইছে। ৬ মাস পর দেখবেন আপনার সবে একাউন্ট খোলা হইছে, ভিডিও নাই।

ডেডলাইনের কাছাকাছি এসে কাজ শুরু করা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।

২. ভ্যালু এড করাঃ

ড্রপশিপিং বা এক যায়গা থেকে হোলসেলে পণ্য কিনে একটু বেশী দামে অন্য কোথাও সেল করলেন, মাঝখানে কিছু টাকা ইনকাম করলেন।
এরকম বিজনেস মডেল খুব বেশিদিন থাকবেনা। প্রযুক্তির প্রভাবে মানুষ আস্তে আস্তে সরাসরি উৎপাদক থেকে পণ্য কিনতে পারবে। আপনি এখন আলীএক্সপ্রেস থেকে কিনে সেল দিচ্ছেন, কয়দিন পর যখন আলীএক্সপ্রেস থেকে সহজেই ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা করে দিবে, তখন কাস্টমার আর আপনার কাছে আসবেনা। বা নিউমার্কেট থেকে টিশার্ট কিনে অনলাইনে বেশি দামে সেল দিলেন ।
কিন্তু আপনি যদি নিউ মার্কেটের থেকে কিনা টিশার্টের সাথে একটু দাম বাড়িয়ে একটা মাক্স বা সুন্দর কোন ডিজাইন প্রিন্ট করে সেল করেন, সেটা অনেক বেশি ভ্যালুয়াবেল হবে ও কাস্টমারের কাছেও গ্রহনযোগ্যতা পাবে।

দাম নিয়ে কম্পিটিশোন করা লস। প্রতিদ্ধন্দ্বী আপনার থেকে ৫ টাকা কমে পণ্য দিচ্ছে, এটা দেখে আপনি ১০ টাকা কমে দিলেন ! এই কমাকমি কখনোই শেষ হবেনা। আপনি ১০ টাকা দাম না কমিয়ে এক্সট্রা কেয়ার, বা এক্সট্রা কাস্টমার সাপোর্ট দিন। সেটা বিজনেসে আরো বেশী কাস্টমার নিয়ে আসবে।

৩. কাজ ভাগ করাঃ

বিজনেস দাঁড় করাতে গেলে টুকটাক অনেক কিছুর দরকার হয়। লগো , ওয়েবসাইট বানানো, অফিস সাজানো ইত্যাদি। এসকল কাজ যদি আপনি নিজে করতে যান, তাহলে হয়তো আপনার মনের মত নিখুতভাবে করতে পারবেন। কিন্তু প্রচুর সময় নষ্ট হবে। আপনাকে পুরো বিজনেসের সকল দিক দেখতে হবে, যেসব কাজ অন্যদের দিয়ে করে ফেলা যাবে সেটার উপর কম ফোকাস করা উচিৎ।
এতে করে আপনি বিজনেজ গ্রো করার ডিপার্টমেন্টের দিকে বেশী নজর দিতে পারবেন।

৪. সেলসঃ 

সেলস স্কিল ব্যাবসার জন্য খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাবসায় কখনো নিজেকে সেল করতে হয়, কাস্টমারের কাছ প্রোডাক্ট সেল করতে হয়, নিজের গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রকাশের জন্য নিজের এভিলিটি সেল করতে হয়। নিজের সেলসম্যানশীপ, লিডারশিপের উপর ব্যাবসা কতটুকু গ্রো করতে তা নির্ভর করে।
আর এই স্কিল বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার সব করা উচিৎ।

৫. মিটিংঃ

মিটিং যত কম করবেন , তত ভালো। তার মানে এই না যে, একদম মিটিং বাদ দিবেন।
মিটিং করতে গেলে প্রথমে একটা প্রিপারেশনের ব্যাপার থাকে। এরপর হাই, হ্যালো, কি অবস্থা, এসব করে মূল টপিকে আসতে অনেকখানি সময় চলে যায়। কিন্তু এসবের পরিবর্তে যদি মান্থলি বা উইকলি আপডেটগুলো মেইল করতে বলা হয়, তা আরো বেশী উপযোগী। মেইলে যেহেতু সব সংক্ষেপে লিখতে হয়, মূল ব্যাপারটা নিয়ে শুধু মেইলিং হয় এবং সব তথ্য পাওয়া যায়।

বোনাস টপিকঃ

ব্রেক ইভেনঃ ব্রেক ইভেন বলতে আপনি ব্যাবসায় যত টাকা ইনভেস্ট করেছেন, তা তুলে আনা। অনেকের টার্গেট থেকে যত তারাতারি ব্রেক ইভেন ক্রস করা যায়, তত ভালো। আসলে ব্রেক ইভেন কোন ম্যাটার না যদি বিজনেস গ্রো করতে থাকে। ইন্ডাস্ট্রি ওয়াইজ কোন বিজনেসে এটা ৫ মাস কোন বিজনেসে ৫ বছর ও লাগে। আবার যখন আপনি কারো থেকে লোন নিবেন বা কেউ বিজনেসে ইনভেস্ট করবে। ব্রেক ইভেন পয়েন্ট কিন্তু অনেক বেড়ে যাবে।
আপনার বিজনেসের পুঁজি যদি ৫ লাখ হয়, আপনি যখন গ্রোথের জন্য আরো ১০ লাখ ইনভেস্ট নিবেন, আপনার ব্রেক ইভেন পয়েন্ট -১৫ লাখ হয়ে যাবে।
ইউনিকর্ন কোম্পানিগুলো কখনোই ব্রেক ইভেনে যেতে চায়না। বার বার ইনভেস্ট নিয়ে ব্যাবসা প্রসারে কাজ করে।
যতবেশী টাকা আপনি ইনভেস্ট করে যাবেন, বিজনেস গ্রোথ তত বেশী হবার সম্ভাবনা থাকবে।
সো, এটার দিকে ফোকাস না করে , বিজনেস গ্রোথকেই মূল বিবেচনায় রেখে আগাতে হবে।

Source: Khalid Farhan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *